মোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ, প্রতিবেদক:
নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়ন আ‘লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ খাঁন (৭৭) বার্ধ্যজনিত কারনে ইমেত্মকাল করেছেন। (ইন্না—রাজেউন)। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলার পারবাঁকাপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে রানীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১টা ১৫ মিনিটটে নওগাঁ সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন।
তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতী-নাতনী, আত্বীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে গেছেন। মৃত্যু খবর ছড়িলে পড়লে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল এমপি, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও পারভীন আকতার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি ইসহাক আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মরহুম সামাদ খানকে পৃথক পৃথক ভাবে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। আব্দুল জলিল এমপি বলেন, সামাদ খানের মৃত্যুতে ইউনিয়ন আ‘লীগের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। কারন তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং সংগঠনের নিবেদিত প্রান ছিলেন।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী হিসাবে এক সঙ্গে কাজ করে আসছি। তিনি ছিলেন লোভ লালসার অনেক উর্দ্ধে থেকে রাজণীতি করতেন। এ ছাড়াও শৈলগাছী ইউনিয়নের চেয়াম্যান আঃ গফুর সরদারসহ পরিষদের সদস্যবৃন্দরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতৃবৃন্দরা ও এলাকার হাজার হাজার বিভিন্ন ধর্মবলম্বীর নারী পুরুষ, বৃদ্ধ আবাল বনিতারা তাকে একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন এবং অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি তৎকালীন চকপ্রসাদ ইউনিয়নের তথা বর্তমানে শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর ইউপি সদস্য হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বুধবার বিকেলে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পুন্ন হয়। নামাজে ইমামতি করেন, আলহাজ্ব মোঃ কামাল উদ্দীন।
.নিউজ প্রতিবেদক, সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ