রূপসীবাংলা কৃষি ডেস্ক :
প্রতি বছর ঢাকঢোল পিটিয়ে ইঁদুর নিধন কর্মসূচি পালন করা হলেও এ নিধন তেমন কোন কাজে আসছে না কৃষকদের। উত্তরাঞ্চলে গত ১০ বছরে ৩০ লাখ মেট্রিক টনের ওপর আমন ধান ইঁদুরের পেটে গেছে। আর প্রতি বছর উত্তরের ১৬ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মে. টন আমন ধান ইঁদুরের কারণে কৃষকরা গোলায় তুলতে পারেন না।
যা আমনের মোট উৎপাদনের ৬ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতি মৌসুমে গমের মোট উ[ৎপাদনের ১০ শতাংশ, আলু ৬ শতাংশ, শাকসবজি ৫ শতাংশ, নারিকেল ১০ শতাংশ ও আনারস ১০ শতাংশ ফলন ইঁদুর খেয়ে ফেলে। আর ইঁদুর নিধন সম্ভব হলে প্রতি বছর উত্তরাঞ্চলে প্রায় ১৩ হাজার টন ধান রা করা সম্ভব হবে বলে সংশিস্নষ্ট কৃষি বিভাগ মনে করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ২১ লাখ হেক্টরে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ৫৩ লাখ মে. টন ধান উ[ৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই উৎপাদনের ৬ শতাংশে ভাগ বসাবে ইঁদুর। এতে কৃষকরা কাঙ্খিত ফলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতি বছর ইঁদুর নিধন কর্মসূচি পালন করা হয় ঢাকঢোল পিটিয়ে। ২৬ সেপেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ইঁদুর নিধন অভিযান। চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যমত্ম কৃষি অফিস জানায়, গত আমন মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে আড়াই লাখের বেশি এবং রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ইঁদুর নিধন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমেও প্রায় একই পরিমাণ ইঁদুর নিধনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় ১১ হাজার মে. টন ও রংপুর অঞ্চলে ইঁদুর নিধন করে আড়াই হাজার মে. টন ধান রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও ইঁদুর সেচ নালা কেটে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পানি নষ্ট করে সেচকাজে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটায়। জনগণের অসচেতনতার কারণে প্রতিবছরই এই অঞ্চলে ইঁদুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
নিউজ প্রতিবেদক. সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ