উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ উপেক্ষিত : প্রধানমন্ত্রী

0
296
Print Friendly, PDF & Email

রূপসীবাংলা ঢাকা, ১০অক্টোবর :
বর্তমান বিশেব স্বল্পন্নেত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে হোটেল রূপসী বাংলার উইন্টার গার্ডেনে শিল মন্ত্র্রণালয়ের উদ্যেগে আয়োজিত শিল্প সহযোগিতা বিষয়ক উন্নয়নশীল আটটি দেশের মন্ত্র্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বিশবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্পন্নেত ও উন্নয়নশীল আট রাষ্ট্রের জোট ডি-এইটকে আরো তৎপর হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশবায়নের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেবর প্রতিটি রাষ্ট্র এ পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করছে। স্বল্পন্নেত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে বিশবায়ন ক্রমেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় বেশি তৎপর। এ পরিস্থিতিতে ডি-এইটভুক্ত দেশগুলো নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর হতে হবে। এখন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ডি-এইট দেশগুবেলার সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মমত্ম্য করেন তিনি। তিনি আসিয়ানসহ স্বল্পন্নেত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থবান্ধব অন্যান্য আঞ্চলিক ও আমত্মর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও ডি-এইটের সমওঝাতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ ছাড়া মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়শিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্থন ও তুরস্ক ডি-এইটের সদস্য। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের বিশববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি করার প্রসত্মাব দেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে ডি-এইট ফেলোশিপ চালু করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। ডি-এইট দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে- এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্র বলেন, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের আইন উদার এবং বৈদেশিক বিনিয়োগবান্ধব করা হয়েছে।
বৈদেশিক বিনিয়োগের পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় সংক্রামত্ম আইন ও নীতিমালা অত্যমত্ম স্বচ্ছ ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ৮টি সদস্য দেশের সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে তুরস্কের ইসত্মাম্বুলে ডি-এইটের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
নিউজরুম

শেয়ার করুন