রূপসীবাংলা ঢাকা, ১০অক্টোবর:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের ২শ’ বিদ্রোহী প্রার্থীকে অর্থায়ন করার পরিকলনা করছে জামায়াত! এসব প্রার্থীর পেছনে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে দলটি।
সরকারের ওপর মহলে গোয়েনদা তরফে এমন তথ্য জানানো হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়ের এক উচপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিশ্চিত করতে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ছক করছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনশ’ আসনের মধ্যে ২শ’ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ধরে রাখা এবং নির্বাচনী খরচ বাবদ প্রত্যেক প্রার্থীকে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা দেয়া। এ পরিকলনা অনুসারে জামায়াত আসনভিত্তিক তালিকা তৈরি করছে। সরকারের প্রায় পৌনে ৪ বছরে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের গ্রুপিংয়ে অবহেলিত ত্যাগী নেতাদের বেছে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া আওয়মী লীগ সমর্থিত সাড়ে তিনশ’ উপজেলা চেয়ারম্যানকেও তারা টার্গেট করেছে। নানা কারণে সরকারের ওপর প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যানদের। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালবে জামায়াত।
এজন্য আওয়ামী লীগের অবহেলিত প্রভাবশালী নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে বাছাই করে ২শ’ জনের নির্বাচনী ব্যয় বহন করবে জামায়াত। যাতে নির্বাচনের কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের নিয়ে ব্যসত্ম থাকে। আওয়ামী লীগ দিয়ে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করা। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জামায়াত নেতাদের ধারণা, নির্বাচনের সময়ে ৫ কোটি টাকা হাতে পেলে আওয়ামী লীগে বহু বিদ্রোহী নেতা পাওয়া যাবে। নির্বাচনী ব্যয় বাবদ তাদের ১ কোটি টাকা খরচ হলেও বাকি ৪ কোটি টাকা তাদের পকেটে থাকবে। এ কারণে বিদ্রোহীদের কেউ সরাতে পারবে না।
গোয়েনদা সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত টাকাও দেবে ভিন্ন কৌশলে। প্রার্থীদের হাতে সরাসরি টাকা দেয়া হবে না। কেউ টাকা পাবে আত্মীয়স্বজন, ব্যবসায়ী, কেউবা সামাজিক সংগঠন বা এলাকার উন্নয়নে গঠিত সংগঠনের ব্যানারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান ৭ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলায় দেশে ও বিদেশে এ দলটি ভাবমূর্তি নিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অভ্যমত্মরীণ রাজনীতিতেও সুবিধা করতে পারছে না। যুদ্ধাপরাধের বিচারের কারণে দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপিও জামায়াতের পাশে দাঁড়ানোর প্রকাশ্য ঝুঁকি নিচ্ছে না। এই বিপর্যসত্ম অবস্থায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে অসিত্মত্ব সংকটে পড়বে তারা। সে কারণে জামায়াত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। ইসলামী ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ও বিশববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জামায়াতী ঘরানার হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকেও জামায়াত অর্থ পাচ্ছে। এসব খাত থেকে এ বিশাল নির্বাচনী ব্যয় মেটানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সূত্র মানবকন্ঠ
নিউজরুম