পাতিলের ব্যবসা থেকে হলমার্ক এমডি

0
220
Print Friendly, PDF & Email

রূপসীবাংলা ঢাকা, ০৯ অক্টোবর :
হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তারুয়া গ্রামের সবাই তাকে তফসির হিসেবে চেনে। তফসিরের পরিবারসহ চাচারা সবাই ঢাকা বসবাস করতেন দীর্ঘদিন থেকে।
ছোটবেলা থেকেই আলিশান বাড়ি গাড়ির ও মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তফসির তার পিতা মো. নুরুল ইসলাম কালু মিয়া অ্যালুমোনিয়ামের হাড়ি-পাতিলের ব্যবসা করতেন। পিতার সঙ্গে তানভীর মাহমুদও এ ব্যবসা করতেন। ২০০০ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। মাত্র তিন হাজার টাকা বেতনের চাকরি থেকে তানভীর শিল্পপতি বনে যান। হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে সিআইপি কার্ডও পান তিনি। তার স্ত্রী ও হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের পরিচয় ঘটে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলীর সঙ্গে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী জেসমিন ইসলামের। সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের প্রভাব খাটিয়ে তারা ব্যাংকের থেকে ঋণ নেয় হাজার হাজার কোটি টাকা। হলমার্ক গ্রু পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের গ্রামে রয়েছে ছয় একর জমির ওপর তার বিশাল বাড়ি।
বাড়ির সামনে পেছনে রয়েছে বিশাল পুকুর। ঢাকা ও সাভারে রয়েছে কয়েকটি বাড়ি প্রতিটি বাড়ী অত্যামত্ম আধুনিক। শেওড়াপাড়ার ১৮৫/৫/এ নম্বরের আলিশান ভবনে গিয়ে দেখে যায় বাড়ির সামনে বড় আকৃতির একটি খাঁচায় একটি ব্রাজিলিয়ান ম্যাকাও ও চারটি ময়না পাখি। ৬ তলার পুরো ভবনের সব ক’টি ফ্লেরের দরজা-জানালা খোলা। বাড়ির নিচ তলায় কোন গাড়ি নেই। ওই ভবনের সামনে মূল সড়ক পর্যমত্ম প্রায় ৪০ কাঠা জায়গার ওপর টিনশেড গাড়ির গ্যারেজ। গ্যারেজে আছে ৯টি পাজেরো, ১২টি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি পিক-আপ ভ্যান। তানভীরের পাশের বাড়ির লোকদের কাছে জানা গেল প্রায় বছর দুয়েক ধরে ওইসব যুবক চলাফেরা করে তানভীরের সঙ্গে। এরা সবাই ওই এলাকার চিহিণত সন্ত্রাসী। তানভীর মাহমুদের বাড়ির পাহারায় নিয়োজিত সশস্ত্র আনসাররা জানায়, এখানে তারা বাড়ির পাহারায় নিয়োজিত আছে ৩৭ জন। ১০৫/৪ রোকেয়া সরণিতে হলমার্কের প্রধান কার্যালয়ে এখন সুনসান নীরবতা। তিনজন পিওন পাহারা দিচ্ছে অফিস। মদ-নারীতে আসক্ত ছিল তানভীর। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে তার নিকটজনদের কাছ থেকে। সাভারের হলমার্ক সাম্রাজ্যে তানভীর গড়ে তুলেছিলেন ডাকবাংলো নামের এক রঙমহল। অনৈতিক কাজের যাবতীয় আয়োজন ছিল সেখানে। পুরো কক্ষজুড়ে অনৈতিক কাজের নানা আয়োজন ও উপকরণ।
নানা শৈলিক কাজে সাজানো বাংলোতে আয়েশের সময় কাটাতেন তানভীর মাহমুদ। আলীশান চার কক্ষের ওই বাংলোর একটি কক্ষতে সাজানো। তানভীরের রঙমহলে গিয়ে দেখা যায় স্বলবসনা তিন তরুণী।উলেস্নখ্য, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ রোববার রাত সোয়া ৯টায় রাজধানীর মিরপুর-১০ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব।
নিউজরুম

শেয়ার করুন