রূপসীবাংলা নাটোর,০৯ অক্টোবর :
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউলাহ নুর বাবু হত্যার তদন্ত কাজ দু’বছরেও শেষ হয়নি। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর সানাউলাহ বাবুকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে সোমবার নিহত সানাউলাহ নুর বাবুর দ্বিতীয় বর্ষ নিরবেই পালন করা হয়েছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় পারিবারিকভাবে কোরআন খানী,মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হলেও দলীয়ভাবে কোন কর্মসুচী নেয়া হয়নি। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রিয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে চেয়ারম্যান সানাউলাহ নুর বাবুর নেতৃত্বে বনপাড়া বাজারে মিছিল বের করা হলে ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র নেতা কর্মীরা ওই মিছিলে হামলা চালায়। তাদের নৃশংস হামলায় সানাউললাহ নুর বাবু মারত্মক আহত হয়ে মৃত্যুবরন করেন।
এই হত্যার ঘটনায় নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী মহুয়া নুর কচি স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২৮ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করলেও মামলার আইও ডিবির এসআই আব্দুল হান্নানের বদলী জনিত কারণে মামলাটি বর্তমানে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আহম্মদ আলী তদন্ত করছেন। ঘটনার দুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে পারেননি ওই তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার সকল আসামী বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে মামলার প্রধান আসামী ও ২০০২ সালে বিএনপি কর্মীদের হামলায় নিহত বড়াইগ্রাম থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ আয়নাল হকের ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাকির হোসেন জাকির হোসেন বনপাড়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। নিহত বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি অভিযোগ করে জানান, মামলার আসামীরা সরকারী দলের কর্মী হওয়ায় বর্তমান সরকার তাদের জামিন দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। এদের অনেকেই এখন বিভিন্ন গুরুত্ব পদে অসীন হয়েছেন। এবিষয়ে সিআইডির তদন্ত কারী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি তার উর্ধতন কর্মকর্তা সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রতিবেদক, সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ