রূপসীবাংলা কক্সবাজার, ৮অক্টোবর :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুতে সকল ধর্মের লোকদেরকে সহ অবস্থান নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বরোপ করে বলেছেন, রামুর সহিসংস ঘটনার বিষয়ে সর্বদলীয় একটি কমিটি ঘটন করা হবে। সোমবার সকালে রামুর জন সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি মহল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক রামু খিজারী উচ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুর ঘটনার জন্য বিএনপি দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দায়ী করে বলেন,ওই এমপি উত্তেজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখার পর বৌদ্ধমন্দির ও বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সুষ্ঠু তদমেত্মর মাধ্যমে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে। এর জন্য সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, যারা বৌদ্ধ বসতি,মন্দির,ও বিহারে হমলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি। এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি স্থানীয় বিএনপির দলীয় সাংসদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, সেদিন তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, এ সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। আমত্মর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় ছিল বলে শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতা এসেছে। তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা। ক্ষমতায় থাকতে যারা কোটি কোটি অবৈধ টাকা কামিয়েছে ক্ষমতা হারানেরপর ঔ কালো টাকাসাদা করেছে। আর, যে মায়ের ছেলেরা বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেধরা পড়েছে,তাদের মূথে আর যাই হোক এ সরকারের বিরদ্ধে দূর্ণীতিও চোর অপবাদ দেয়া মানায় না। জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট একে আহমদ হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি, জেলা পরিষদের প্রশাসক মোসত্মাক আহমদ চৌধুরী, সাংসদ আবদুর রহমান বদি, সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী রামুর ক্ষতিগ্রস্থ ১০৭ পরিববারকে প্রায় ৪ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রামুতে বিধ্বসত্ম বৌদ্ধ পলস্নী ও মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের হাতে নগত টাকার চেক বিতরণ করেন।
নিউজরুম