রূপসীবাংলা চাঁদপুর, ০৭ অক্টাবর :
১১ দিন চাঁদপুরের মেঘনা নদীসহ দেশের নদ-নদীগলোতে ইলিশ শিকার বন্ধ রাখার পর শনিবার থেকে জেলেরা আবারোা জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে৷ প্রথমদিনেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ জেলেদের জালে আটকাচ্ছে৷
ফলে চাঁদপুরের বাজারে এখন শুধু ইলিশ আর ইলিশ৷ দামও কমেছে অনেক৷ ফলে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই খুশি৷ জাতীয় মাছ ইলিশ রায় সরকার ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ‘জাটকা নিধন কর্মসূচি’ এবং পরবতর্ী সময়ে ‘জাটকা রা কার্যক্রম”র আওতায় চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যনত্ম একশ’ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত মেঘনার অংশকে মার্চ-এপ্রিল দু’ মাস এবং আশি্বন মাসের ভরা পূর্ণিমায় মাত্র ১১ দিন ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে এবং এ সময় নিধর্ারিত এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে৷ এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়ে আশি্বন মাসের ভরা পূর্ণিমা উপলে ২৫ সেপেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পযন্ মাত্র ১১ দিন নদীতে মাছ ধরা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷
এর ভেতরও লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরেছে জেলেরা৷ সেইসব মাছ বাড়ি বাড়ি নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে৷ কিছু মাছ বরফ দিয়ে রাখা হয়েছিল৷ সেগুলো এখন বাজারে ছাড়া হয়েছে৷ ফলে ইলিশে ছেয়ে গেছে চাঁদপুরের বাজার৷ দামও কমেছে প্রায় ৪০ ভাগ৷ আগে যে ইলিশ ১ হাজার ২শ’ থেকে ১হাজার ৪শ’ টাকার বিক্রি হয়েছে এখন তা সাড়ে ৭ শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে৷ ক্রেতারা অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন৷ কেউ বলেছেন মাছ ধরা বন্ধ রাখায় ভাল হয়েছে৷ মাছের সরবরাহ বেড়েছে এবং দাম কমেছে৷ আবার কেউ কেউ বলছেন দাম আগের মতই৷
জাটকা ও ডিমওয়ালা ইলিশ রা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এবং দুনর্ীতিমুক্ত ও প্রভাববিহীনভাবে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, কোষ্টগার্ড , মত্স্য বিভাগ কাজ করলে রূপালি ইলিশের রাজধানী চাঁদপুর অচিরেই তার নামের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে সাধারণের অভিমত৷
প্রতিবেদক, সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ