রূপসীবাংলা ঢাকা,৭ অক্টোবর:
হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের স্পিকারের রুলিংয়ের বিষয়ে বিভাগের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে আপিলের অনুমতি দেয়নি আপিল বিভাগ৷ রোববার প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূণর্াঙ্গ বেঞ্চ সরকার পরে করা আবেদনটি কিছু অবজারভেশনসহ নিষত্তি করেন৷
স্পিকারের রুলিংকে অকার্যকর করে হাই কোর্টের দেয়া আদেশ বিষয়ে গত ৪ অক্টোবর লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন আপিল বিভাগ৷ ওই দিন আপিলের প েঅ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অন্যদিকে আপিলের বিপ েরোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আক্তার ইমাম শুনানি করেন৷ হাই কোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সরকার গত ৩ সেপেম্বর লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে৷ পরে চেম্বার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ৩০ সেপেম্বর বিষয়টির শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন৷ এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানি হয়৷ একজন বিচারক সংবিধানের ৭৮ (১) অনুচ্ছেদ লঙন করেছেন এবং এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, প্রধান বিচারপতি ভেবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন স্পিকারের এই রুলিংয়ের আইনগত ভিত্তি নেই বলে হাই কোর্টের দেয়া রায় ২৭ আগস্ট প্রকাশিত হয়৷ জাতীয় সংসদে একজন বিচারক সম্পর্কে স্পিকারের দেয়া রুলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ১৮ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম শফিউদ্দিন ওই রিট আবেদনটি করেছিলেন৷ শুনানি নিয়ে গত ২৪ জুলাই আদালত পর্যবেণসহ আবেদন নিষত্তি করেন৷ আর হাই কোর্টের রায় প্রকাশের এক সপ্তাহের মাথায় গত ৩ সেপেম্বর লিভ টু আপিল করে সরকার৷ প্রসঙ্গত, ২৯ মে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সড়ক ভবন সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্যরা৷ এ নিয়ে ৫ জুন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী কিছু মনত্মব্য করেন৷
একই দিন সংসদে কয়েকজন সদস্য এর তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউনিল গঠন করে ওই বিচারপতিকে অপসারণের দাবি জানান৷ এর ১৩ দিনের মাথায় ১৮ জুন সোমবার স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট সংসদে একটি রুলিং দেন৷
নিউজরুম