আমদানি নীতিতে প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন বা প্রি-শিপমেন্ট ইনপেকশন (পিএসআই) ব্যবস্থা বলে একটি নিয়ম চালু রয়েছে৷ প্রধানত রাজস্ব ফাঁকি ও অনিয়ম রোধে এ ব্যবস্থা ২০০০ সাল থেকে চালু করা হয় সাময়িকভাবে৷ তবে অচিরেই ব্যবস্থাটি চরম দুনর্ীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে৷ পিএসআই কোম্পানি গুলোর প্রত্য মদদে গত কয়েক বছরে রাজস্ব ফাঁকি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷ এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ভোগাতিতে পড়ছে আমদানি-রফতানিকারকরা৷ সোমবার যুগানত্মরে চরম দুনর্ীতিগস্থ কয়েকটি পিএসআই কোম্পানির নামধাম ও দুনর্ীতি-অনিয়মের বিসত্মারিত খতিয়ান প্রকাশিত হয়েছে৷ সবচেয়ে উদ্বেগজনক, গত ১১ বছরে পিএসআই সংস্থাগুলো হাজার হাজার সিআরএফ জালিয়াতি ও ভুল সিআরএফ ইস্যু করে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির দায়ে অভিযুক্ত হলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও প্রভাব-প্রতিপত্তির বলয়ে থাকায় রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে৷ কাস্টমস কতর্ৃপ কয়েকটি পিএসআই কোম্পানিকে কয়েকশ’ কোটি টাকা জরিমানা করলেও উচ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে অকার্যকর করে রেখেছে সেগুলো৷ এর পাশাপাশি আমদানি-রফতানি পণ্যের ভুল সিআরএফ (কিন্টন রিপোর্ট অব ফাইন্ডিংস) ইস্যুর মাধ্যমে সংশিষ্টদের জিম্মি করে আদায় করছে শত শত কোটি টাকার অবৈধ কমিশন৷ পিএসআই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অনিয়ম-দুনর্ীতি প্রতিরোধে আরও কঠোর পদপে নেয়া যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ও সংশিষ্ট কাস্টমস কতর্ৃপকে৷ সর্বোপরি রাজস্ব ফাঁকি ও অনিয়ম প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা যদি কার্যকর না হয়ে নিজেই চরম দুনর্ীতি-অনিয়মগ্রস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে বিকল পদ্ধতিও ভাবা যেতে পারে৷