রাজশাহী প্রতিবেদক, ০৬অক্টোবর:
প্রায় দুই বছর ধরে প্রশাসক দিয়ে চলছে রাজশাহী শিল ও বণিক সমিতি (চেম্বার অব কমাসর্ঞ্চ ইন্ডাস্ট্রিজ)৷ বারবার নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় চরম ুব্ধ এখানকার ব্যবসায়ীরা৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাণিজ্য সংগঠন নীতিমালা যথাযথভাবে অনসুরণ না করার অভিযোগ এনে রাজশাহী চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদের নির্বাচন তৃতীয় দফায় স্থগিত করা হয়৷
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন ও উপসচিব নাজমুল আহসান মজুমদার স্বারিত এক আদেশে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে৷ শনিবার এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল৷ ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহত্ এসংগঠনের নির্বাচন৷ এবার রাজশাহী চেম্বারের মোট ভোটার সংখ্যা ৯৮৬ জন৷ বারবার নির্বাচন স্থগিত হওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতপন্থী ভোটার সংখ্যা বেশী থাকায় মূল কারণ বলে মনে করেন অনেকেই৷ জোট সরকারের আমলে বেশকিছু বিএনপি ও জামায়াতপন্থী অব্যবসায়ীদের অবৈধভাবে চেম্বারের সদস্য করা হয়৷ এই সদস্যরা এবার ্বেভাটার রয়েছেন৷ ফলে আওয়ামী লীগপন্থীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন রয়েছে বিএনপি জামায়াতপন্থী ভোটার৷ এ কারণে গত নির্বাচনের এককভাবে জয়লাভ করে বিএনপি জামায়াতপন্থী প্যানেল৷ তবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগের পর বেশ কিছু আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ীদের সদস্য করে করা হয়৷ কিন্তুু বিএনপিপন্থী চেম্বারের সাবেক সভাপতির এক রিট আবেদনের প্রেেিত নতুন সদস্যদের ভোটাধিকার স্থগিত করে হাইকোট৷ এর পর তিন বার তফসিল ঘোষনা করা হলেও নির্বাচনের এক-দুইদিন আগে তা স্থগিত করা হয়৷ রাজশাহী চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে প্রশাসকের উপর দায়িত্ব থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে রাজশাহীর চেম্বারের সাংগঠনিকসহ সার্বিক কার্যক্রম৷ আর বারবার নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ৰোভ ও হতাশা৷ ফুঁসে উঠছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরাও৷
সূত্র মতে, সাবেক পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়ম অনুযায়ী গত ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তুু ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাজশাহী চেম্বারের ভোটার তালিকায় বিপুল সংখ্যক অবৈধ ভোটারের উপস্থিতি শনাক্ত করে ২ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত নির্বাচন স্থগিত করে দেন৷ বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরা মতায় থাকাকালীন সময়ে অনেক অব্যবসায়ীদের চেম্বারের ভোটার হওয়ার সুযোগ পান বলেও অভিযোগ উঠে৷ ফলে নির্বাচন স্থগিত করে একই সঙ্গে রাজশাহী চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়৷ এরপর ১ জানুয়ারি রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দেওয়ান আব্দুস সামাদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ ওই বছরের ১ জানুয়ারি প্রশাসক বাতিল করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন চেম্বারের সাবেক পরিচালক খন্দকার হাফিজ উদ্দিন৷ এই মামলাটি নিস্পত্তি করে আদালত রাজশাহী চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য বাণিজ্য ম্ত্রণা্রলায়কে নির্দেশ দেন৷ এর আগে বাণিজ্য মন্ত্র্রনালয় ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাজশাহী চেম্বারের সাবেক পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক টুকুকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন৷
তিনি বেশ কিছু আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ীদের চেম্বারের সদস্য করেন৷ এরপর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি টুকুকে সরিয়ে বাণিজ্য মন্ত্র্রণালয়ের রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মজিবর রহমানকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন৷ একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্র্রণালয় তাঁকে ১২০ দিনের মধ্যে চেম্বারের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার পাশাপাশি সদস্য তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হসত্মানত্মরের নির্দেশ দেন৷ এরই মধ্যে চেম্বারের আটজন সদস্য ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম অনত্মভর্ৃক্ত কেন করা হয়নি? তা জানতে চেয়ে এবং নির্বাচন স্থগিত চেয়ে উচ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়৷ এর পর গত ১৯ জুন চেম্বারের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ৷
নিউজ প্রতিবেদক, সম্পাদনা আলীরাজ/ আরিফ