রূপসীবাংলা নিউজ ঢাকা:
১০ কোটি টাকার মিশনে নেমেছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত৷ রেলে ৬শ’ লোক নিয়োগ দিয়ে তিনি এই টাকা পেতেন৷ এমনই তথ্য দিলেন রেলের বহুল আলোচিত অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমান দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাবেক সহকারী একানত্ম সচিব (এপিএস) ওমর ফারুকের গাড়ির চালক আজম খান৷
শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিকে দেওয়া এক সাাতকারে তিনি এসব কথা বলেন৷ অর্থ কেলেঙ্কারির ওই ঘটনার পর থেকেই আত্বগোপনে রয়েছেন গাড়িচালক আজম খান৷ আজম খান দাবি করেন, টাকা তো মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাড়িতে যাচ্ছিল৷ ওদিকে যাওয়ার পথেই আমি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি৷ এর আগেও কয়েকবার টাকা গেছে৷
ঘটনার দিন জব্দ করা ৭৪ লাখ টাকা মন্ত্রীর বাড়িতেই নেয়া হচ্ছিল ৷ টাকা বসত্মায় ভরে চালক তা নিজেই গাড়িতে তোলেন৷ ওমর ফারুক রেলের নিয়োগ বাণিজ্য সিন্ডিকেটের মূল হোতা বলেও তিনি দাবি করেন আজম খান৷ সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আজম খান বলেন, ‘না না, আমার সঙ্গে অন্য কারও যোগসাজশ ছিল না৷ এমন না যে কাউকে চাকরি দিব বলে কারও কাছ থেকে টাকা এনেছি৷ এমন কিছু ছিল না৷ তবে এমন অনেক কিছুই রটেছে৷ গত ৯ এপ্রিল রাতে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ বডর্ার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ঝিগাতলা গেট দিয়ে একটি গাড়ি ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ ওই গাড়িটি ওমর ফারুকের আর সেটি চালাচ্ছিলেন আজম খান৷ আজমের ভাষ্য, বিপুল পরিমাণ টাকাসহ গাড়ি বিজিবিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার সময় ওমর ফারুক তার কাছে জানতে চান, গাড়ি নিয়ে তিনি কোথায় যাচ্ছেন? আজম দাবি করেন, ‘তখন আমি বললাম স্যার, এগুলো ঘুষের টাকা, দুনর্ীতির টাকা, রেলের দুনর্ীতির টাকা, এই টাকাসহ আমি আপনাদের ধরিয়ে দেব৷ এ জন্য আমি গাড়ি ভেতরে ঢুকিয়েছি৷’ আজম খানের দাবি, মন্ত্রীর ১০ কোটি টাকা দিয়ে ৬’শ লোককে রেলে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি গাড়িতে আলোচনা শুনেছেন৷ তার দাবি, ‘দোষটা করেছেন মন্ত্রী৷ এখন সরকারের ওপর সেটা চাপাতে চান৷’ আজম এই দুনর্ীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন৷ একই সঙ্গে তিনি এ ব্যাপারে দুনর্ীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশিস্নষ্টদের তদনত্ম কাজে সহায়তা করতে চান৷কোন দুনর্ীতিবাজ যেন ছাড়া না পায় এমন দাবি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের নিরাপত্তা চান৷ পালিয়ে বেড়ানো জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বজনদের কাছে ফিরতে চান তিনি৷
আপলোড ০৬ অক্টোবর