শিকদের চাকরি জাতীয়করণ, বিভিন্ন ধরনের ভাতা বৃদ্ধি, এমপিও প্রদান ও অবসর সুবিধা প্রদানসহ অন্যান্য অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক সংগঠনের নেতারা একাট্টা হয়ে রাজপথে নেমেছেন৷ এমনকি সরকারপন্থী শিক সংগঠনগুলোর ডাকে সম্প্রতি সপ্তাহ খানেকের মতো ধর্মঘটও পালিত হয়েছে৷ মোদ্দা কথা হচ্ছে, দাবি আদায়ের ল্যে শিকদের ২৯টি সংগঠনই এখন রাজপথে৷ এর বিপরীতে শিা মন্ত্রণালয় শিকদের দাবি-দাওয়া ও উন্নয়ন কাজ মিলিয়ে মোট ১৭টি অগ্রাধিকারমূলক খাত তৈরি করলেও গোল বেধেছে অর্থসংস্থান নিয়ে৷ শিক সমাজের ােভ-অসনত্মোষ ও আন্দোলন স্থিমিত করতে চাইলে সরকারকে এ মুহূর্তে অতিরিক্ত ৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ দিতে হবে৷ অথচ শিা মন্ত্রণালয়ে সরকারের বার্ষিক বরাদ্দই হচ্ছে ৯ হাজার ৪৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা৷ ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে৷ এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, দেশের ৮০ শতাংশ শিা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি এবং তুলনামূলকভাবে বেসরকারি শিা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীায় ভালো ফলাফল করছে৷ বর্তমানে বেসরকারি শিকদের নামমাত্র ১’শ টাকা বাড়িভাড়া ও ১৫০ টাকা চিকিত্সা ভাতা দেয়া হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য৷ বেসরকারি শিকদের বার্ষিক কোন ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয় না৷ বেসরকারি শিা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর শিকরা মাত্র একবার ইনক্রিমেন্ট পেয়ে থাকেন৷ অথচ একই যোগ্যতাসম্পন্ন এবং একই স্কেলে যোগদান করে সরকারি শিা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক বার্ষিক ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন৷ এছাড়া এমপিওভুক্ত হওয়ার ২ বছর ও ৮ বছর পর বেসরকারি শিকরা টাইমস্কেল পেতেন৷ বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে৷ একটি আধুনিক রাষ্ট্রে শিার কী ভূমিকা তা রাষ্ট্রমতায় যারা আছেন, তাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে৷ প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বেসরকারি শিকদের বাসত্মবসম্মত দাবি-দাওয়া পূরণে সরকার আনত্মরিকতার পরিচয় দেবে, এই প্রত্যাশা করছি৷ শামিম আল রাজি সম্পাদক ০৪ অক্টেবর-১২