রূপসীবাংলা নিউজ ডেস্ক, ০৫ অক্টোবর:
চলতি মাসেই দেশে আবারো বাড়ছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম৷ দাতা গোষ্ঠি আনত্মর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর শর্ত পূরণ করতে গিয়েই সরকারকে এ সিদ্ধানত্ম নিতে হচ্ছে৷ এবার লিটারপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রসত্মাব করা হয়েছে ৪ টাকা৷ ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় দাম বাড়ানো বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রসত্মাবের নীতিগত অনু্বেমাদন দিয়েছে৷ আগামী নভেম্বরের মধ্যে আইএমএফের এঙ্টেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির (ইসিএফ) পরবতর্ী কিসত্মির ১৪ কোটি ডলার পেতেই সরকার এ উদ্যগ নিয়েছে৷ কারণ ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী আইএমএফ প্রতিনিধিদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
সংশি্#৮৭২২;ষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ আইএমএফের ৩ বছরমেয়াদি ইসিএফ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে৷ ফলে ৩ বছরে ইসিএফের আওতায় বাংলাদেশ লেনদেনের ভারসাম্য রায় ৯৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাবে৷ ইতিমধ্যে গত এপ্রিলে ইসিএফের প্রথম কিসত্মির আওতায় ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ পাওয়া গেছে৷ দ্বিতীয় কিসত্মির অর্থ পাওয়ার কথা আগামী নভেম্বর মাসে৷ তবে এ ঋণ পেতে বাংলাদেশকে আইএমএফের বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হচ্ছে৷ শর্তগু্বেলার মধ্যে রয়েছে সংসদে মূল্য সং্বেযাজন কর বা ভ্যাট আইন অনু্বেমাদন, শেয়ারবাজারে ডিমিচুয়ালাইজেশন ব্যবস্থা কার্যকর এবং আনত্মজর্াতিক একটি অডিট ফার্ম দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীা করানো৷ কিন্তুু সরকারের প ে৩টি শতের একটিও পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব হয়নি৷ তবে ইতিমধ্যে ভ্যাট আইনটি সংসদে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হয়েছে৷ তাছাড়া শেয়ারবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে৷ ডিসেম্বরের আগে এটি আইনে পরিণত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই৷ আর আনত্মজর্াতিক অডিট ফার্মেও মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অডিটের বিষয়টি এখনো রকান উদ্যগ নেয়া হয়নি৷ সূত্র জানায়, বর্তমানে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ মার্কিন ডলারে৷ প্রেট্রাল ও অকটেন বিক্রিতে কোন লোকসান না হলেও ডিজেল ও কেরোসিনে সরকারকে এখনো লোকসান গুনতে হচ্ছে৷ এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা বাড়ানো হলে লোকসান কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে জ্বালানি তেলের এ দাম বৃদ্ধির প্রভাবে মূল্যসীতি আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ আর এর মাশুল গুনতে হবে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের৷ মূলত ভতর্ুকি মূল্যে কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহের কারণেই এ খাতে সরকারের লোকসান বেড়ে যাচ্ছে৷ আর সাধারণ মানুষ এর খেসারত দিচ্ছে৷ এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের গভীরভাবে বিবেচনার দাবি রাখে৷ চলতি বছরের এখন পর্যনত্ম জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো না হলেও গতবছর পর পর ৪ বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ তখন ৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা থেকে মোট ১৭ টাকা বাড়ানো হয়৷ গতবছরের শেষদিকে সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বাড়ায় সরকার৷ এর ফলে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৬১ টাকায়, কেরোসিন ৬১ টাকায়, প্রেট্রোল ৯১ টাকায়, অকটেন ৯৪ টাকায় এবং ফার্নেস অয়েল ৬০ টাকায়৷
সূত্র আরো জানায়, ইসিএফের ২য় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত মাসে এদেশ সফর করেছে৷ এসময় তারা ঋণের শর্ত পালনের অগ্রগতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে একাধিক সভা করে৷ এসব সভায় দাতা গোষ্ঠিটির প থেকে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, সরকারি ব্যাংকের নাজুক অবস্থা এবং ব্যাংকিং খাতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিল নজরদারির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে৷ পাশাপাশি তারা শেয়ারবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া কেন শেষ হচ্ছে তাও জানতে চায়৷ একই তারা জ্বালানি তেলের দামও সমন্বয়ের তাগিদ দেয়৷ তা না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ২য় কিসত্মির অর্থ ছাড়৷ কিন্তু সরকার কোন ভাবেই বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসিএফের ২য় কিসত্মির অর্থ হাতছাড়া করতে রাজি নয়৷ আর এ কারণেই বাড়ানো হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম৷ এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে আসছে৷ এ কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এদেশেও দাম বাড়নো হবে৷ গতবছর ৪ বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ চলতি মাসে আবারো দাম বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে৷
নিউজরুম