রূপসীবাংলা নিউজ.কম : প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতারা মনে করছেন মুখে মহাজোট সরকার তাদের অধীনে নির্বাচন করার কথা বললেও দেশি-বিদেশি চাপ ও আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। আর নির্দলীয় ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণের বিপুল সমর্থন পাবে ১৮ দলীয় জোট। তাই রাজপথে কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের জন্যও জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
এ লক্ষ্যে ২০১৪ অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এককভাবে দলের প্রায় দুই শতাধিক আসনে দলের খসড়া প্রার্থী তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত।
বেসরকারি দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের জরিপ ও তৃণমূলের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই প্রাথমিক এই খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান দলের শীর্ষ নেতারা। বিএনপি নেতাদের মতে, আসছে নতুন বছরের পুরোটাই তাদের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে ব্যস্ত থাকতে হবে। একথা বিবেচনায় রেখেই আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি কিছুটা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থান বিএনপির।
বিএনপি নেতারা জানান, প্রাথমিকভাবে জোটের শরিকদের জন্য ৪০-৫০টি আসন ছেড়ে দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে। বিএনপির একাধিক স্থায়ী কমিটির সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খসড়া তালিকা অনুযায়ী বিগত নির্বাচনের প্রায় ৭০-৮০টি আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল হতে পারে। অন্তত ৮-১০টি আসনে প্রভাবশালী নেতাদের স্ত্রী অথবা তাদের আÍীয়স্বজন প্রার্থী হবেন।
ইতিমধ্যে হাইকমান্ড থেকে তাদের গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে দেখা যাবে নতুন মুখ। অপর একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক তালিকায় অন্তত ৫০-৬০টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের পাশাপাশি বিকল্প প্রার্থীও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ ব্যাপারে মানবকণ্ঠকে বলেন, আমাদের দলে পরীক্ষিত নেতার সংখ্যাই অনেক। বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলে এক/দুইশ আসনে প্রার্থী সবসময় বাছাই করাই থাকে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে একদিনের নোটিশেও আমরা নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত আছি। প্রার্থী মনোনয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া সবসময় চলমান রয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাস করে।
তাই সবসময় আন্দোলনের পাশাপাশি পৃষ্ঠা আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দল ও জোটের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য হবে না। সবকিছুই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়টি স্বীকার করে অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সবসময় নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। প্রার্থী নির্বাচনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কালকেও যদি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে প্রার্থী মনোনয়নে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবকণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করছি। এখন আমাদের একটাই টার্গেট যে কোনো মূল্যে সরকারকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আগামীতে ১৮ দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। এটা বুঝতে পেরে সরকার সংবিধান সংশোধন করে তাদের অধীনে নীল নকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা কোনোদিন জনগণ সফল হতে দেবে না। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাস করে। সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি ফয়সালা ছাড়া ১৮ দল কোনো নির্বাচনে যাবে না, তা হতেও দেবে না।
এদিকে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বেসরকারি দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ জরিপ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মহাজোট সরকারের মাঝামাঝি সময়েই দেশব্যাপী একদফা জরিপ চালানো হয়েছে। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও তৃণমূলের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই প্রাথমিক এই খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শকেও বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেয়ার সময় দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আন্দোলনকে বেগবান করার পাশাপাশি দলের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ অর্ধযুগেরও বেশি সময় পর তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এই মতবিনিময় শুরু করেন। প্রথম দফায় ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলার কথা বলা হলেও দলের নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর জুড়েই তিনি পর্যায়ক্রমে জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অব্যাহত রাখবেন। এসব মতবিনিময় সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকনির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তৃণমূলের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নির্ধারণ করবেন খালেদা জিয়া।
খসড়া প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ২৫, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৩, কর্নেল অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ৩, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ইসলামিক ঐক্যজোট ২, খেলাফত মজলিস ২, শফিউল আলম প্রধানের জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ১, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১, জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম ১, শেখ শওকত হোসেন নীলুর বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (এনপিপি) ১ আসনসহ নির্বাচনে যোগ্য এমন দলকে দুই একটি আসন দেয়া হতে পারে।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫, এমকে আনোয়ার কুমিল্লা-২, ব্রি.জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ গাজীপুর-৪, এম শামছুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জ-৩, রফিকুল ইসলাম মিয়া ঢাকা ১৬, মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮, আব্দুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম-৯, আমানউল্লাহ আমান ঢাকা-২, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা-৩, তরিকুল ইসলাম যশোর সদর, এম এ মান্নান গাজীপুর-৭, লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান দিনাজপুর-২, ড. ওসমান ফারুক কিশোরগঞ্জ-৪, মজিবুর রহমান সরোয়ার বরিশাল সদর, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩, তাহমিনা রুশদী লুনা (নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী) সিলেট-২, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০, এহসানুল হক মিলন চাঁদপুর-১, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুর-৪, আব্দুল মমিন তালুকদার বগুড়া-৩, এসএ খালেক ঢাকা-১৪, এম মোর্শেদ খান চট্টগ্রাম-৭, আমজাদ হোসেন মেহেরপুর-২, একেএম হাফিজুর রহমান বগুড়া-২, জেডআই মোস্তফা আলী মকুল বগুড়া-৪, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু (বিকল্প তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা) ঢাকা-৭, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকা-১৩, নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনা-২, নাজিম উদ্দিন আহমেদ লক্ষ্মীপুর-১, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন নোয়াখালী-১, ডেজ এম মোস্তফা আলী বগুড়া-৪, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল-২, সেলিমা রহমান বরিশাল-৩, চট্টগ্রাম-৪ , সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩, জয়নাল আবদিন ফেনি-২, জয়নুল আবদিন ফারুক নোয়াখালী-২, ইঞ্জি. টিএস আইয়ুব যশোর-৪, ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী-২, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা-১, সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা-৫, সাদেক হোসেন খোকা ঢাকা-৬, আব্দুল মান্নান ঢাকা-১, এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বরগুনা-২, একেএম মোশাররফ হোসেন ময়মনসিংহ-৪, আশরাফউদ্দিন নিজান লক্ষ্মীপুর-৪, ফজলুল হক মিলন গাজীপুর-৫, দিলদার হোসেন সেলিম সিলেট-৪, আহমেদ আযম খান-টাঙ্গাইল-৮, কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন সুনামগঞ্জ-৫, সমীরণ দেওয়ান পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর, সরওয়ার জামাল নিজাম চট্টগ্রাম-১২, আখতার হামিদ সিদ্দিকী নওগাঁ-৩, কামরউদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সিরাজগঞ্জ-৬, আফজাল এইচ খান ময়মনসিংহ-১, শাহ নূরুল কবীর ময়মনসিংহ-৮, নাজিমউদ্দিন আলম ভোলা-৪, শেখ সুজাত মিয়া-হবিগঞ্জ-১, আবুল হায়াত মোহাম্মদ শামছুল আলম প্রামাণিক নওগাঁ-৪, আফরোজা খান রিতা মানিকগঞ্জ-২, মোজাহার হোসেন পঞ্চগড়-২, মাসুদ অরুন মেহেরপুর-১, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোনা-১, এ এম সাখাওয়াত হাসান জীবন হবিগঞ্জ-২, নাছির চৌধুরী সুনামগঞ্জ-২, ফজলুর রহমান পটল নাটোর-১, নাসিরুল হক সাবু রাজবাড়ী-২, লুৎফর রহমান টাঙ্গাইল-৪, লুৎফর রহমান খান আজাদ টাঙ্গাইল-৩, সামসুজ্জোহা খান নওগাঁ-২, মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৩, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অথবা তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫, মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ কুমিল্লা-৩, মিজানুর রহমান সিনহা মুন্সীগঞ্জ-২, মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ফেনী-৩, একেএম মোশাররফ হোসেন ময়মনসিংহ-৪, আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী-১, খায়রুল কবীর খোকন নরসিংদী-১, আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাট-৩, আবুল খায়ের ভূইয়া লক্ষ্মীপুর-২, বরকতউল্লাহ বুলু নোয়াখালী-৩, মাজহারুল হক প্রধান পঞ্চগড়-১, মজিবর রহমান সারওয়ার বরিশাল-৫, মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী-২, মেজবাউদ্দীন ফরহাদ বরিশাল-৪, মোজাম্মেল হক নাটোর-৪, মোজাহার আলী প্রধান জয়পুরহাট-১, রুমানা মাহমুদ অথবা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ-২, লুৎফুর রহমান (কাজল) কক্সবাজার-৩, গিয়াস কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম-৫, গোলাম মোস্তফা জয়পুরহাট-২, দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঢাকা-১৯, হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ভোলা-৩, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৭, এবিএম মোশাররফ হোসেন পটুয়াখালী-৪, হারুনুর রশীদ খান মুন্নু মানিকগঞ্জ-৩, হাসিনা আহমেদ অথবা তার স্বামী দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার-১, শাহজাহান চৌধুরী কক্সবাজার-৪, ফজলুল হক আছপিয়া সুনামগঞ্জ-৪, মো. শাহজাহান নোয়াখালী-৪, নেত্রকোনা-১ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনাজ্জামান, রহিমউদ্দিন ভরসা রংপুর-৪, হাসানউদ্দিন সরকার গাজীপুর-২, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর-২, জানে আলম খোকা বগুড়া-৫, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে ঢাকার যে কোনো একটি আসন থেকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বগুড়া- ৬, ৭ ও ফেনি-১সহ পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন। যেসব আসনে প্রার্থী বদল ও বিকল্প প্রার্থী রয়েছে সেগুলো হলো: কিশোরগঞ্জ-১,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩, ঢাকা-৪, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, হামিদুল্লাহ খান (বীর প্রতীক মৃত) ঢাকা- ১৫, ঢাকা ১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, তানবীর আহমেদ সিদ্দিকী (বহিষ্কৃত) গাজীপুর-১, রাজশাহী-৫, নারায়ণগঞ্জ-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, হবিগঞ্জ-৩, নারায়ণগঞ্জ-৫, বড়িশাল-৬, সিরাজগঞ্জ-৩, খুলনা-১, অ্যাড. খন্দকার দেলোয়ার হোসেন (মৃত) মানিকগঞ্জ-১, সিলেট-৩, পটুয়াখালী-৩, রাজবাড়ী-১, নেত্রকোনা-২, ঝালকাঠি-২, কুমিল্লা-৫, বগুড়া-২, জামালপুর-২, নারায়ণগঞ্জ-২, দিনাজপুর-৫, পাবনা-২, চট্টগ্রাম-১, মৌলভীবাজার-১, ময়মনসিংহ-৩, বাগেরহাট-২, সিরাজগঞ্জ-৪, কুমিল্লা-৯, রাজশাহী-১, চট্টগ্রাম-৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, হবিগঞ্জ-৪, গোপালগঞ্জ-৩, রাজশাহী-৩, নাটোর-৩, নারায়ণগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫, খুলনা-৩, শরীয়তপুর-৩, ময়মনসিংহ-৯, চট্টগ্রাম-১১, টাঙ্গাইল-৬, কুমিল্লা-৮, নরসিংদী-৫, কিশোরগঞ্জ-৩, চাঁদপুর-৩, ময়মনসিংহ-৭, নরসিংদী-৩, মাগুরা-২, টাঙ্গাইল-১, ময়মনসিংহ-১১, নড়াইল-১, কিশোরগঞ্জ-৫, বড়গুনা-১, টাঙ্গাইল-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, রাজশাহী-৪, চুয়াডাঙ্গা-১, কিশোরগঞ্জ-৬, পার্বত্য রাঙ্গামাটি সদর, দিনাজপুর-৪, কুমিল্লা-১০, যশোর-৬, ঝিনাইদহ-১, নীলফামারী-৪, মাগুরা-১, কুমিল্লা-৭, জাহেদ আলী চৌধুরী (মৃত) শেরপুর-২, কুড়িগ্রাম-২, পিরোজপুর-২, কুড়িগ্রাম-৩, ঝিনাইদহ-২, লক্ষ্মীপুর-৩, শেরপুর-৩, মৌলভীবাজার-৪, ঝিনাইদহ-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, সাইফুর রহমান (মৃত) মৌলভীবাজার-৩, সাইফুর রহমান (মৃত) সিলেট-১, মাদারীপুর-৩, গাইবান্ধা-৫, গোপালগঞ্জ-২, রাজশাহী-৬, নওগাঁ-৬, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, নওগাঁ-৫, মেহেরপুর-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, কুষ্টিয়া-১, নওগাঁ-১, ঠাকুরগাঁও-৩, চাঁদপুর-২, জামালপুর-৪, জামালপুর-৩, পটুয়াখালী-২, ফরিদপুর-৪, পিরোজপুর-৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, বগুড়া-১, শরীয়তপুর-২, পাবনা-৪, জামালপুর-৫, গোপালগঞ্জ-১, সাতক্ষীরা-১, চাঁদপুর-৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, কুমিল্লা-৪, চট্টগ্রাম-১৬, গাজীপুর-৪, নেত্রকোনা-৫, চাঁদপুর-৫, ময়মনসিংহ-৫, নরসিংদী-৪, চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-৮, সুনামগঞ্জ-১, নীলফামারী-১, ঝালকাঠি-১, নেত্রকোনা-৩, গাইবান্ধা-২, নড়াইল-২, খুলনা-৪, কুষ্টিয়া-২, ঝিনাইদহ-৪, নোয়াখালী-৬, ময়মনসিংহ-৬, ফরিদপুর-২, ময়মনসিংহ-২, ফরিদপুর-১, মুন্সীগঞ্জ-১, বরিশাল-২, কুড়িগ্রাম-১, পাবনা-৩, নাটোর-২,লালমনিরহাট-২, জামালপুর-১, কিশোরগঞ্জ-২, মাদারীপুর-২, ময়মনসিংহ-১০। myÎ gvbeKÚ 27.09.12