বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

0
601
Print Friendly, PDF & Email

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সদস্য (রোকন) আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাহিদুর রহমান আজ রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন। 
সেখানে আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২২টি ঘটনায় ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছে। 
আবুল কালাম আযাদ বর্তমানে পলাতক।


মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ ‘সুষ্ঠু ও কার্যকর’ তদন্তের স্বার্থে আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই দিনই বেলা পৌনে তিনটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুনন্দা রানী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আবুল কালামের উত্তরখানের আযাদ ভিলায় যান। ডিবির দলটি ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তবে সেখানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তারা ফিরে যায়।
বাচ্চু রাজাকার পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর দুই ছেলেও আত্মগোপন করেন। গত ৯ এপ্রিল সকালে রাজধানীর লোহারপুল এলাকায় মামাশ্বশুরের বাসা থেকে বড় ছেলে এস এম ফয়সল আযাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ছোট ছেলে এ কিউ মুশফিকবিল্লাহ জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয় মামা কাজী এহতেশামের বাসা থেকে। একই সঙ্গে তাঁদের মামাকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ছোট ছেলে মুশফিকবিল্লাহ জানান, গ্রেপ্তারের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাবা। সে অনুযায়ী ৩০ মার্চ সন্ধ্যার পর একটি মাইক্রোবাসে করে তাঁরা বাসা থেকে বের হয়ে যান। প্রথমে যান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু ইউসুফের আগারগাঁও এলাকার বাসায়। সেখানে বসে সিদ্ধান্ত হয় পাকিস্তান অথবা নেপাল যাওয়ার।
মুশফিকবিল্লাহ জানান, ওই রাতেই তাঁরা হিলি সীমান্তে পৌঁছান। আবু ইউসুফ গাড়ি নিয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে পৌঁছে চাপিলা নামের একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলে দুই দিন থাকার পর বাচ্চু রাজাকার ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েন।

শেয়ার করুন