স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালাতে ব্যর্থতার কারণে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করেন না মন্ত্রী সাহারা খাতুন।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে সোমবার সকালে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যর্থতার কারণে কাউকে সরানো হয়েছে এটা আমি মনে করি না। শুধু আমার দপ্তর নয়, অনেকগুলোতেই রদবদল আনা হয়েছে।”
মন্ত্রিসভার পরিবর্তন একটি নিয়মিত ঘটনাও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে অনেক আলোচিত মন্তব্যের জন্ম দেওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা।
বিমানবন্দরে সাহারাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুও তার সঙ্গে ছিলেন।
পূর্বসূরির প্রশংসা করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, “পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে সফল স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন সাহারা খাতুন।”
তিনি বলেন, সংসদীয় গণতান্ত্রে যে কোনো সময় মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে। কে কোন দায়িত্ব পেল তা বড় কথা নয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাহারা খাতুন বলেন, “আমি কখনও বলিনি যে আমি একজন সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি কি দায়িত্ব পালন করেছি, এটা দেখার দায়িত্ব দেশবাসীর।”
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গণমাধ্যমে নানা মন্তব্য করে দল ও দলের বাইরে তোপের মুখে ছিলেন সাহারা খাতুন। ৪৮ঘণ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকা-ের কোনো কূলকিনারা করতে না পারায় গণমাধ্যমকর্মীরাও তার বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করে।
সরকারের মেয়াদ আর এক বছর বাকি থাকতে গত বৃহস্পতিবার নতুন পাঁচ মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন। শনিবার তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় আনা হয় বড় ধরনের রদবদল।
এই রদবদলে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতিনির্ধারক মহিউদ্দিন খান পান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুদায়িত্ব। আর আগের মন্ত্রী সাহারাকে চলে যেতে হয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।