রেলের সেবা বৃদ্ধি ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে যশোর রেল স্টেশনের আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরণসহ রেলওয়ের সঠিক সময় মেনে চলার জন্য রেলমন্ত্রীর নিদের্শনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে রেলের একঝাক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ইতিমধ্যে যশোর রেলওয়ে স্টেশনের সামনের রাস্তা সংস্কার, রেলভবনের সামনের পার্কিং জোনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঁচা বাজার অপসারণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
সকালে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের পাকশী বিভাগের সহকারী এষ্টেট অফিসার আশীষ কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে যশোর জংশনে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। কোর্ট চলাকালীন সকাল ৮টায় আপ কপোতাক্ষ, সকাল ৯টায় বেনাপোল কমিউটার, বেলা ১১টায় ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১২টায় পার্বতীপুরগামী খুলনা রকেট ও খুলনাগামী সাগরদাঁড়ী এক্রপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনে অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমনকারী বেশ কিছু যাত্রীকে আটক ও রেল আইনে জরিমানা আদায় করা হয়। এব্যাপারে মোবাইল কোট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা আশীষ চক্রবর্তী জানান, রেল মন্ত্রীর নিদেশনা মোতাবেক পাকশী বিভাগের বিভাগীয় রেল ম্যানেজার পঙ্কজ কুমার সাহার লিখিত নির্দেশ মোতাবেক তিনি এই মোবাইল কোট পরিচালনা করছেন। এছাড়া রেল কর্মীচারীদের পোষাক পরিধান করে দায়িত্ব পালন, রেল স্টেশন চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করণ, ট্রেনের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম মনিটরিং, স্থানীয় যাত্রীদের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরাসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করণ ও তা দূর করার লক্ষ্যে জনস্বার্থে ১৬টি জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম তিনি সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। কারণ যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে হলে রেলওয়ের যেমন উন্নয়ন ঘটাতে হবে তেমনি রেলের যাত্রীদের সেবা গ্রহণের মানসিকতা তৈরী করতে হবে। বেনাপোল কমিউটার ট্রেন সার্ভিসকে আরো গতিশীল করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বেনাপোল কমিউটার ট্রেনটি প্রতিদিন এক বারের পরিবর্তে দিনে দু’বার চলাচলের উদ্যোগ,নেবার জন্য তিনি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষতে অবহিত করবেন। একই সাথে যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে খুলনা ঢাকা রুটে আরো একটি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর কোন পরিকল্পনা আছে কিনা এ মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে খুলনা ঢাকা রুটে আরো একটি ট্রেন সংযোগ করার বিষয়েও তিনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। তবে তা শুরু করতে হলে আরো অনেক সময় লাগবে। এই জন্য তিনি স্থানীয় জন উদ্যোগ তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান , এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এখন থেকে যশোর জংশনে প্রতিমাসে অন্তত ৬ থেকে ৭ বার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এর ফলে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমনকারী যাত্রীর সংখ্যা যেমন হ্রাস পাবে অপর দিকে রেলের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে । রেলের সেবা বাড়বে। তিনি জানান, এই কার্যক্রম শুধু যশোরে নয় রেলওয়ের সারা পশ্চিম জোনেই শুরু হয়েছে।